01841801180 info@pondit.com
জাভাস্ক্রিপ্ট কেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে?

জাভাস্ক্রিপ্ট কেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে?

জাভাস্ক্রিপ্ট মূলত একটি স্ক্রিপ্টিং ল্যাঙ্গুয়েজ। স্ক্রিপ্টিং ল্যাঙ্গুয়েজ গুলো হল সেসব ল্যাঙ্গুয়েজ যেসব ল্যাঙ্গুয়েজের কোড রান করার আগে কম্পাইল করতে হয়না । বর্তমান টেক-বিশ্বে জাভাস্ক্রিপ্ট স্ক্রিপ্টিং ল্যাঙ্গুয়েজ টি জনপ্রিয়তার শীর্ষে। স্ট্যাকওভারফ্লো এর করা সার্ভে অনুযায়ী বর্তমানে সর্বাধিক জনপ্রিয় ল্যাঙ্গুয়েজ হচ্ছে জাভাস্ক্রিপ্ট। এমনকি টানা নয় বছর ধরে এটি এই শীর্ষস্থা ন দখল করে রেখেছে।

 

এই জনপ্রিয়তার পেছনে নিশ্চয়ই সুনির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। কিছু সংখ্যক কারণ নিয়েই আজকের আলোচনা।

  • প্রথম কারনটি হল- জাভাস্ক্রিপ্ট শেখা খুবই সহজ কেননা এটি একটি হাই লেভেল প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। হাই লেভেল ল্যাঙ্গুয়েজে কাজ করতে হলে কিভাবে কোড কম্পাইল করে, কিভাবে রান করে ,কতটুকু মেমরি লাগবে এসব নিয়ে ভাবতে হয়না। যার কারনে এই ল্যাঙ্গুয়েজ বেশ beginner friendly.
  • ডায়নামিক ওয়েবসাইট তৈরী করতে জাভাস্ক্রিপ্ট এর প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। ওয়েব পেইজের ইন্টারএক্টিভিটি বাড়ানো, বিভিন্ন ফাংশনালিটি বৃদ্ধি, ফর্ম ভ্যালিডেশন ইত্যাদি বিভিন্ন কাজে জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহৃত হয়।
  • এর জনপ্রিয়তার অন্যতম একটি কারন হচ্ছে এর মাধ্যমে দুর্দান্ত ইউজার এক্সপেরিয়েন্স এবং ইউজার ইন্টারফেস প্রদান করা সম্ভব।
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর জন্য অবশ্য প্রয়োজনীয় ৩ টি ল্যাঙ্গুয়েজের একটি হচ্ছে জাভাস্ক্রিপ্ট। জাভাস্ক্রিপ্টের কোন বিকল্প নেই। এমন কোন ডায়নামিক ওয়েবসাইট নেই যাতে জাভাস্ক্রিপ্ট এর ব্যবহার নেই।
  • শুধুমাত্র ফ্রন্ট এন্ড বা ক্লায়েন্ট সাইডই না, জাভাস্ক্রিপ্ট সার্ভার সাইড ডেভেলপমেন্ট এও ব্যপকভাবে সমাদৃত, যদিও সর্বপ্রথম জাভাস্ক্রিপ্ট ক্লায়েন্ট সাইড এর জন্যই তৈরী করা হয়েছিলো। তারমানে শুধুমাত্র এই একটি ল্যাঙ্গুয়েজ শিখেই ফুলস্ট্যাক ডেভেলপার হওয়া সম্ভব।
  • ব্রাউজার ছাড়াই Node JS রানটাইম এর মাধ্যমে জাভাস্ক্রিপ্ট কোড রান করা যায়।
  • মোবাইল বা ডেস্কটপ সব ধরনের অ্যাপ ডেভেলপমেন্টেই জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহার করা যায়। মোবাইল অ্যাপ তৈরীতে ব্যবহৃত জাভাস্ক্রিপ্টের ফ্রেমওয়ার্কগুলো হচ্ছে React Native, Ionic, Sencha, PhoneGap। ডেস্কটপ অ্যাপ তৈরীতে Electron JS ফ্রেমওয়ার্কটির বহুল ব্যবহার রয়েছে।
  • সব ধরনের অপারেটিং সিস্টেমে সাপোর্ট করায়, ক্রস প্লাটফর্ম এপ্লিকেশান তৈরীতে ও জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহৃত হচ্ছে।
  • জাভাস্ক্রিপ্ট এ বিভিন্ন কাজের জন্য রয়েছে অসংখ্য লাইব্রেরী যা প্রয়োজনমতো ব্যবহার করে অনেক কঠিন কাজকে সহজ ভাবে করা যায়। এমনকি কোন কোন লাইব্রেরী ইউজ করে মেশিন লার্নিং এর কাজ ও করা হচ্ছে। IOT এর কাজের জন্যও জাভাস্ক্রিপ্টের বিভিন্ন ফ্রেমওয়ার্ক রয়েছে যার মধ্যে Cylon.js, Favor, IoT.js, IoT-Node.js উল্লেখযোগ্য।
  • ফ্রেমওয়ার্ক মূলত আমাদের কোডিং বা প্রোগ্রামিং এর কাজকে সহজতর করে। জাভাস্ক্রিপ্টের ফ্রন্টেন্ড এবং ব্যাকেন্ড উভয়ের জন্যই রয়েছে দারুন সব ফ্রেমওয়ার্ক। ফ্রন্টেড ফ্রেমওয়ার্কগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় কিছু হচ্ছে Vue.js, Angular, jQuery, react যার মধ্যে ফেসবুকের তৈরী করা react সর্বাধিক জনপ্রিয়। সার্ভার সাইড ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে Express.js বেশ জনপ্রিয়।

পরিশেষে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি কারন হচ্ছে, অফলাইন এবং অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে জাভাস্ক্রিপ্ট ডেভেলপারদের ব্যাপক চাহিদা বর্তমান। ফ্রিল্যান্সার হিসেবেও রয়েছে প্রচুর কাজের সুযোগ । এছাড়াও জাভাস্ক্রিপ্ট ডেভেলপারদের রয়েছে সুবিশাল এক কমিউনিটি, বর্তমানে যা প্রায় ১২.৪ মিলিয়ন ব্যাবহারকারীর এক বিশাল পরিবার।

প্রোগ্রামিং এ দক্ষতা অর্জনে অনলাইন এবং অফলাইন কোর্সসমূহের প্রয়োজনীয়তা

প্রোগ্রামিং এ দক্ষতা অর্জনে অনলাইন এবং অফলাইন কোর্সসমূহের প্রয়োজনীয়তা

জ্ঞান এবং দক্ষতা সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী দুটি ব্যাপার, যদিও আমাদের জীবনে উভয়ের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
 
কোডিং মানেই প্রচুর পরিমান চর্চা, এমনকি যারা চার বছর পড়াশোনা করে কম্পিউটার সায়েন্সে ডিগ্রি অর্জন করেন তারাও একবাক্যে স্বীকার করবেন যে, তারা এই চার বছরের কোর্স কারিকুলাম শেষ করেও কোডিং এ হাতেখড়ি ব্যতীত তেমন কোন দক্ষতাই অর্জন করতে পারেন না । এইজন্যই দেখা যায়, চার বছর ভার্সিটি লাইফ শেষ করার পর প্রচুর পরিমান শিক্ষার্থী সার্টিফিকেট অর্জন করলেও জব মার্কেটের জন্য তৈরি না ।
 
কম্পিউটার সায়েন্সে ডিগ্রী অর্জন এবং প্রোগ্রামিং, নেটওয়ার্কিং বা ডাটাবেইজে দক্ষতা অর্জন একেবারেই পৃথক বিষয়। এই দক্ষতা অর্জনের পথে কিছু প্রভাবকের ভূমিকা যেমন অনস্বীকার্য, একই সাথে প্রশ্নবিদ্ধও বটে! তেমনই একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হল অনলাইন বা অফলাইন বিভিন্ন সহায়ক কোর্সসমূহ।
 
প্রায়শই একটি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় যে দক্ষতা অর্জনের জন্য কোর্সই কেন করতে হবে? আমরা জানি, যে কোন কাজেই দক্ষতা অর্জনের জন্য নিয়মিত চর্চার কোন বিকল্প নাই। এখন নিজ থেকে এই চর্চা চালিয়ে নেওয়া অনেকের ক্ষেত্রেই অনেক কারনেই সম্ভবপর হয়ে ওঠে না ।
 

তন্মধ্যে কিছু কারন এবং তার সমাধান নিচে আলোচনা করা হলঃ

• কোন দিকনির্দেশনা ছাড়া আমরা ফ্রেশাররা অনেকেই বুঝতে পারিনা, কার কোন ক্ষেত্রে, কিভাবে ক্যারিয়ার গড়া উচিত। সেখেত্রে একজন মেন্টর সঠিক গাইডলাইন দিতে পারে যাতে করে শিক্ষার্থীর পথ চলা সহজ হয়।
• অনলাইনে প্রচুর পরিমান কন্টেন্ট থাকার পরেও, অনেকেই দ্বিধায় ভুগতে থাকেন জবমার্কেটের জন্য নিজেকে গড়ে তুলতে হলে ঠিক কী শেখা উচিৎ, কতটুকু শেখা উচিৎ এবং কিভাবে শেখা উচিৎ ।
• অনেক সময় অনেক ভালো মানের অনলাইন রেকর্ডেড কোর্স করার পরেও, সমন্বয়হীনতা, যথাযথ মূল্যায়ন, শিক্ষক এর সাথে ইন্টারেকশন, চর্চার বা পরীক্ষণ পদ্ধতির সুযোগ সুবিধার অভাবে্‌, শিক্ষার্থীরা শেষ পর্যন্ত আগ্রহ ধরে রাখতে পারেনা অথবা কোর্স কমপ্লিশনের পরেও নিজেদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারেনা যে ঠিক কতটুকু শিখলো বা জানলো। সেক্ষেত্রে অনলাইন/অফলাইন কোর্সে যেহেতু একজন মেন্টর থাকেন সে সবসময় আপনাকে মূল্যায়ন করেন বিভিন্ন পরীক্ষা/এসাইনমেন্ট এর মাধ্যমে তাই শিক্ষার্থী বুঝতে পারে সে কতটুকু শিখেছে।
• রেকর্ডেড ক্লাসে অনলাইন/অফলাইন ক্লাসের মত মনোযোগ ধরে রাখা যায়না । আবার কোন ব্যাপারে প্রশ্ন থাকলেও সেসব প্রশ্ন করার কোন উপায় থাকে না। সেক্ষেত্রে অনলাইন/অফলাইন কোর্সে শিক্ষার্থী যে কোন প্রশ্ন করার সুযোগ পায় এবং সে অনুযায়ী সমাধান পায়।
• প্রতিযোগীতামূলক পরিবেশ না থাকায় শিক্ষার্থীদের শেখার আগ্রহ ক্রমাগত নিম্নমুখী হতে থাকে। সেক্ষেত্রে অনলাইন/অফলাইন কোর্সের অনেকেই অংশগ্রহন করার কারনে ক্লাসে প্রতিযোগীতামূলক পরিবেশ তৈরি হয় এতে করে সবার মধ্যে শেখার আগ্রহ প্রখর হয়।
• সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ যে কারণ তা হল, যথাযথ পথপ্রদর্শন, পর্যবেক্ষন এবং মূল্যায়নের অভাব। সেক্ষেত্রে অনলাইন/অফলাইন কোর্সে যেহেতু একজন মেন্টর থাকেন তিনি সবকিছু পর্যবেক্ষন এবং মূল্যায়ন করেন এতে করে এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেন।
সর্বোপরি প্রোগ্রামিং এ দক্ষতা অর্জন করাটা গুরুত্তপুর্ন । আমরা যে কোন মাধ্যম থেকে শিখে সেই দক্ষতা অর্জন করতে পারি। যেহেতু বর্তমানে শেখার নানবিধ মাধ্যম রয়েছে, তাই আমার অভিজ্ঞতার আলোকে আমি শেয়ার করলাম কিভাবে অনলাইন এবং অফলাইন কোর্সসমূহ আমাদের জ্ঞান এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে।